ভিটামিন ডি টেস্ট কেন করা হয় সেই বিষয় এ আমরা পোস্ট করেছি । যদি সেই পোস্ট টি পরতে চান নিচে লিংক দেয়া থাকবে পরে নিতে পারেন।
আজকের পোস্ট এ আমরা ভিটামিন ডি টেস্ট এর নরমাল লেভেল ,বেড়ে গেলে কি হতে পারে,কমে গেলে কি হতে পরে সেই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
ভিটামিন ডি নরমাল লেভেল – vitamin d test normal range:
ভিটামিন ডি টেস্ট করলে আমাদের রিপোর্ট পাবার পরে সব থেকে যেই বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত হই। সেটি হচ্ছে শরীরে ভিটামিন ডি এর লেভেল পর্যাপ্ত পরিমাণ এ আছে কিনা।
সেই রিপোর্ট বুঝতে রিপোর্ট এর পাশে নরমাল রেঞ্জ থাকে।
ল্যাব বা হাসপাতাল ভেদে মেশিন অথবা নরমাল লেভেল বা রিপোর্ট কোয়ালিটি বিভিন্ন রকম হতে পারে ।
তবে সচারাচর যেই রিপোর্ট এর নরমাল লেভেল ইন্টারন্যাশনাল ভাবে সীকৃত সেই রিপোর্ট এর নরমাল রেঞ্জ দিয়ে একটি ধারণা দিব।
VITAMIN D (25-OH) normal range :
- Deficient : < 20.00 ng/ml
- Insufficient : 20.00 – 29.00 ng/ml
- Sufficient : 30.00 – 100.00 ng/ml
- Potential Toxicity: > 100.00 ng/ml
Report unit : ng/ml.
এখানে কোন রিপোর্ট এর নরমাল রেঞ্জ যদি ng/ml ইউনিট এ থাকে সেই ক্ষেত্রে ২০ এর নিচে রিপোর্ট থাকলে ভিটামিন ডি এর অভাব অপূর্ণতা বুঝায়। ২০-২৯ সল্প মাত্রায় উপস্থিত। ৩০-১০০ এর মধ্যে থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণ। ১০০ এর উপরে গেলে আবার সমস্যা হতে পারে।
এখন আমরা ভিটামিন ডি কমে গেলে কি কি লক্ষণ বা সমস্যা থাকতে পারে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
আলোচ্য বিষয়বলি
ভিটামিন ডি কমে গেলে কি হয়?
বিভিন্ন কারণে শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে যেতে পারে। এখানে কিছু সম্ভাব্য কারণ দেয়া হল:
- অপর্যাপ্ত সূর্যালোক : ভিটামিন ডি এর প্রাথমিক উৎস হল সূর্যালোক। যখন আপনার ত্বক সূর্য আলোর সংস্পর্শে আসে, তখন ভিটামিন ডি তৈরি করে৷ আপনি যদি সকালের কম সময় রোদে কাটান বা সীমিত সূর্যালোকযুক্ত অঞ্চলে থাকেন তবে আপনার ভিটামিন ডি এর মাত্রা হ্রাস পেতে পারে৷
- অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ: ভিটামিন ডি প্রাকৃতিকভাবে কিছু খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাছ, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ডিমের কুসুমে পাওয়া যায়। যদি আপনার খাদ্য তালিকায় এই খাদ্য গুলির অভাব থাকে তাহলে ভিটামিন ডি এর মাত্রা কমে যেতে পারে।
- গাঢ় ত্বকের কারণে: অতিরিক্ত মেলানিন, ত্বকের রঙের জন্য দায়ী হরমোন, ভিটামিন ডি তৈরি করার জন্য বাঁধা প্রদান করে। গাঢ় ত্বকের টোনযুক্ত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি তৈরি করতে বেশি সূর্যালোকের প্রয়োজন হয় ।
- স্থূলতা: ভিটামিন ডি চর্বি-দ্রবণীয়, যার অর্থ এটি অ্যাডিপোজ টিস্যুতে (শরীরের চর্বি) সংরক্ষণ করা হয়। স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে চর্বির উচ্চ মাত্রার থাকার কারণে ভিটামিন ডি এর চলাচল এর মাত্রা কম হতে পারে কারণ এটি চর্বি কোষে জমে যায় এবং শরীরের ব্যবহারের জন্য কম পরিমাণে থাকে।
- বয়স-সম্পর্কিত পরিবর্তন: মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের ত্বক ভিটামিন ডি তৈরি করতে কর্মক্ষমতা হারায় । যার কারণে, প্রাপ্তবয়স্করা বাইরে কম সময় কাটাতে পারে এবং খাদ্য গ্রহণ ঠিক মত না হলে , ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে যেতে পারে।
এছাড়াও আরো অন্যান্য কারণে ভিটামিন ডি কমে যেতে পারে শরীরে।
এখন আমরা জানবো ভিটামিন ডি লেভেল বেড়ে গেলে কি কি সমস্যা বা উপসর্গ তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন কি ? টেস্টোস্টেরন পরীক্ষা কেন করা হয়? খরচ কত? টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির উপায় কি?
ভিটামিন ডি বেড়ে গেলে কি হয়?
- সূর্যের আলো: যখন আপনার ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে, তখন ভিটামিন ডি তৈরি শুরু করে। বাইরে বেশি সময় অতিবাহিত করলে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বৃদ্ধির হতে পারে।
- খাদ্যতালিকা গ্রহণ: ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া আপনার ভিটামিন ডি এর মাত্রা বাড়াতে পারে। প্রাকৃতিক উত্সের মধ্যে রয়েছে চর্বিযুক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, দুগ্ধজাত পণ্য এবং কিছু ধরণের মাশরুম।
- ভিটামিন ডি ওষুধ: ডাক্তার দ্বারা প্রেসক্রাইব করা ভিটামিন ডি ওসুধ গ্রহণ করলে আপনার ভিটামিন ডি মাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে। এই ঔষধ সাধারণত ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বা যারা রোদে সীমিত সময় থাকে তাদের জন্য দেয়া হয়।
- কিছু চিকিৎসা শর্ত: প্রাথমিক হাইপারপ্যারাথাইরয়েডিজম, গ্রানুলোম্যাটাস ডিজঅর্ডার (যেমন সারকোইডোসিস এবং যক্ষ্মা) এবং লিম্ফোমাসের মতো কিছু রোগের চিকিৎসাতে, সক্রিয় ভিটামিন ডি বা এর বিপাকীয় পদার্থের অধিক বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, যার ফলে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বেড়ে যায়।
- অত্যধিক সাপ্লিমেন্টে: ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়াই ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টে অত্যধিক মাত্রায় গ্রহণ করলে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
এছাড়াও আরো অন্যান্য কারণে ভিটামিন ডি লেভেল বেড়ে যেতে পারে।
উপসংহার:
ফলাফল যাই আসুক না কেন চিন্তিত হবার কিছু না । ভালো চিকিৎসায় খুবই অল্প সময় ভিটামিন ডি জনিত সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
আমাদের পোস্ট টি মূলত শিক্ষা মূলক একটি পোস্ট,ভিটামিন ডি জনিত সমস্যা থাকলে অবশ্যই ভালো ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন। আপনার এই টেস্ট সম্পর্কিত ভালো ধারণা না থাকলে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী এই টেস্ট করবেন ।
আজকের পোস্ট টি এই পর্যন্তই, আমরা এর আগে ভিটামিন ডি টেস্ট কেন করা হয় সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
সেই পোস্ট টি দেখতে চাইলে নিচের লিংক থেকে দেখে নিতে পারবেন।
আর আমাদের পোস্ট যদি আপনার উপকার এ এসে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের মাঝেও আমদের পোস্ট টি শেয়ার করবেন আশা করছি।
নতুন পোস্ট এর আপডেট পেতে অবশ্যই আমাদের পেজ oviggobd তে ফলো দিয়ে রাখবেন ধন্যবাদ।
ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয়
ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়াই ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টে অত্যধিক মাত্রায় গ্রহণ করলে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যা শরীর এর জন্য ক্ষতিকর
ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয়
ভিটামিন ডি এর প্রাথমিক উৎস হল সূর্যালোক। যখন আপনার ত্বক সূর্য আলোর সংস্পর্শে আসে, তখন ভিটামিন ডি তৈরি করে৷ আপনি যদি সকালের কম সময় রোদে কাটান বা সীমিত সূর্যালোকযুক্ত অঞ্চলে থাকেন তবে আপনার ভিটামিন ডি এর মাত্রা হ্রাস পেতে পারে৷
ভিটামিন ডি কত থাকা উচিত?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক বেক্তির শরীরে 30.00 – 100.00 ng/ml ভিটামিন ডি লেভেল থাকা দরকার।
ভিটামিন ডি এর অভাবে কি চুল পড়ে যায়?
হ্যাঁ পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে ভিটামিন ডি না থাকলে চূল পোড়তে পারে।
নতুন কিছু শিখতে চাই এবং সেখাতে চাই । অনভিজ্ঞও থেকে আপনিও হয়ে উঠুন অভিজ্ঞ।