আজকে আমরা যেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনি আপনার নিয়মিত পঠিত পুস্তক এও পাবেন না।
যেই বিষয়গুলি আপনি আপনার পরিবার পরিজন ,বাবা মা কারও কাছেই থেকে শিখতে পারেন নাই।
বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা,বর্তমান সময় এ এই ৬ টি নির্দেশনা অবশ্যই আপনার পিতা মাতার উচিৎ আপনাকে শিখানো।
১. অল্পতেই কাউকে বিশ্বাস না করা :
আপনারা হয়ত বয়স অনুসারে বুঝতে শিখেছেন কখন কাউকে কোন কথা বলা উচিৎ। তার পরেও মানুষের বয়স অনুসারে বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হতে হতে আরও নতুন নতুন বিষয় বুঝার বা বলার শিক্ষার বিকাশ হয়। তাই মানুষ যখন ছোট থেকে বড় হতে থাকে তখন সে সময় অনুসারে বিভিন্ন নিয়ম কানুন প্রাকৃতিক উপায়ে শিখতে থাকে। আপনার জীবনে বন্ধুবান্ধব অবশ্যই আছে ,ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছে , আছে আত্মীয়স্বজন। কিন্তু যখন আপনি জীবনের সফলতা বা দুঃখের মধ্যে দিয়ে যাবেন ।তখন আপনি আপনার অধিক বা সল্প বন্ধুর দেখা পাবেন।
“প্রতিটি বন্ধুত্বের পিছনে কারণ বা সার্থ থাকে”
কেউ আপনাকে ভালোবাসার জন্যে বন্ধুত্ব করে,কেউ আপনার কাছে তার প্রোয়জন এর জন্যে বন্ধুত্ব করে।
তাই খুব সহজই কাউকে বিশ্বাস করার কোন মানেই হয় না ,আপনাকে অবশ্যই নিজের কথাবার্তার উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার ।কোন কথা জনসমুখে বা কারও সাথে শেয়ার করলে সেই বিষয়ের জন্যে আপনার ব্যাক্তিগত কোন ক্ষতি হবে কিনা সেটা অবশ্যই ভেবে আপনার কথা বলা উচিৎ। আপনি অন্য কারও গোপন কথা বা যেই কথা বলার কারণে অন্যের ক্ষতি হতে পারে সেইরকম কথা না বলাই ভালো। কারণ যার সাথে আপনি গোপন কথা ভাগাভাগি করে আজকে ভালো অনুভব করেছেন কালকে সেই ব্যাক্তির সাথে আপনার ভালো সম্পর্ক নাও থাকতে পারে । তখন সেই কথা গুলোই সে অন্যের কাছে পৌঁছে দিলে আপনার ক্ষতি হতে পারে । তাই সহজে কাউকে বিশ্বাস করা উচিৎ নয়।
আমাদের প্রত্যেকেরই একটি গুরু দোষ সেটি হচ্ছে আমরা আমাদের থেকে ভালো জীবনযাপন করা ব্যাক্তিদের সাথে তুলনা করে নিজের জীবন কে দুঃখী করে তুলি। আমরা সবসময় ভাবতেই থাকি আমার বন্ধুর বাবার বা আমার অমুক আত্মীয়র এত টাকা পয়সা কিন্তূ আমার বাবার টাকা পয়সা কম কেন। আমার জীবন এত দুঃখী কেন ।কেন সৃষ্টিকর্তা আমাকে এমন ভাবে সৃষ্টি করলো। আমার দেহ , মুখমন্ডল ,চোখ, চুল এত কুৎসিত কেন। আমরা আমদের কল্পনাতেই নিজেদের কে মূল্যহীন, অপ্রাসঙ্গিক করে তুলি । আর সাথে সাথে এই চিন্তা নিয়েই সামনে এগিয়ে যাই,আমার দ্বারা কিছু হবে না আমার কিছু নাই।কিন্তু আপনি একটু ভেবে দেখুন আপনার কাছে কোন সমাধান নেই জন্যে আপনি আপনার বিষয় গুলি নিয়ে চিন্তায় থাকেন।কিন্তু কেমন হোত যদি আপনি চাইলেই আপনার রূপ জৌলুস টাকা সম্পদ সব কিছু আপনার নিজের মতো করে বাড়াতে পারতেন। তখন তো আপনার দুঃখী হবার কোন কারন থাকতো না। আমরা চাইলেই আমাদের অতীত কে বদলাতে পারিনা । আমরা চাইলেই আমদের জন্মকে অস্বীকার করতে পারি না । তাই আমাদের উচিৎ অবশ্যই অতীত কে মেনে নেয়া। পৃথিবীতে সবাই খালি হাতেই এসেছেন । যারা জন্মগত আমীর বা বৃত্তবান তারও সঠীক নির্দেশনার অভাবে গরীব হয়েছেন। আবার সঠিক নীতি অনুসরণ করে অনেক গরীব ও আমীর হয়েছেন ।
তাই আমরা অতীত এর কথা না ভেবে নিজের কোন বিষয় অন্যের থেকে শক্তিশালী ।অন্যের থেকে কোন বিষয় টি আপনি ভালো পারেন সেইদিক টা আপনার খুঁজে বের করা দরকার। কারণ আমরা জন্মগত ভাবে একে ওপরের থেকে আলাদা। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সবদিক থেকে পূর্ণতা দেই নি তার মানে আমরা জীবনে সব দিক থেকে পারফেক্ট নই। সবার জীবনেই কিছু না কিছু কম বেশি থাকে ।আমাদের উচিৎ আমাদের নিজের সব থেকে শক্তিশালী দিক কে আবিষ্কার করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
আপনি হয়ত আপনার পুরো জীবনের অর্ধেক শিক্ষা বা বড় বড় ডিগ্রি অর্জন এর জন্যে শেষ করে দিয়েছেন । আর যদি শেষ না করেন তাহলে ভাবছেন হয়ত অমুক ডিগ্রি টা পেলেই আপনার জীবন সফল। কিন্তু যখন চাকরি পরীক্ষা দিচ্ছেন বা ইন্টারভিউ দিচ্ছেন দেখতে পাচ্ছেন আপনার থেকে অনেক মেধাবী বসে আছে আপনার সাথে কম্পিটিশন করবার জন্যে।
একটি উদাহরণ দেই: সুই সুতা দিয়ে জামা কাপড় সিলাই হয় ,এটা নিশ্চয়ই সবাই কম বেশি জানেন । আবার একটা সুই এর মধ্য দিয়ে একটা সুতায় ঢুকবে অথবা দুইটি সুতা যোর করে ঢুকালেন । কিন্তু সিলাই ত একটি সুতো দিয়েই করতে হবে। বাংলাদেশ এর বর্তমান চাকরির খালি পদ ও চাকরি করবার লোক সংখ্যা, সুই সুতোর মত। ১০০ পদের জন্যে ১ লক্ষ আবেদন কিসের ইঙ্গিত দেয়? ওখানে ১০০ জন ই তাদের সুযোগ পাবে তার মধ্যে মুষ্টিময় লোক বাদ পড়বে ।এটাই বাস্তবতা এই সত্য আপনাকে শিকার করতে হবে। যদি না করতে চান তাহলে আপনি এখনও সরকারি চাকরির সুযোগ সুবিধা উপভোগের স্বপ্নে আছেন।যেই সপ্ন আমি ইন্টার পড়বার সময় দেখতাম। একজন মাস্টার্স পাশ করে মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন আর প্রতিদিন ২ হাজার টাকা ফুচকা বিক্রি করা মানুষ এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আপনি ভালো পোশাক পরে অফিসে অন্যের গোলামী করছেন , আর আরেকজন লুঙ্গি পড়ে নিজের ব্যাবসা দেখছেন।ব্যাবধান শুধু পোশাক কাজ করবার ধরন । কিন্তু মাস গেলে কে কত টাকা নিজের জন্যে সঞ্চয় করল সেইটাই সব থেকে বড় বিষয়।আমদের সমাজ এর প্রেক্ষা পটে লোক জন চাকরি কে বেশি দাম দিলেও, বর্তমান সময় এ ছোট ব্যাবসা যারা করেন তারাও ভবিষ্যতের জন্যে ভালো টাকা সঞ্চয় করছেন। এখন বিষয় হচ্ছে দুইজন এরই ভবিষ্যৎ এ অনিশ্চয়তা আছে।
যিনি চাকরি করেন তার চাকরি ভালো করতে পারলে ভালো না করতে পারলে চাকরি হারানোর ভয়। আবার যিনি ফুচকা বিক্রেতা তারও দিন ভালো গেলে ভালো উপার্জন আবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসলে তারও ইনকাম বন্ধ।আধুনিক যুগে কোন কিছুতেই আপনার জীবন সফল হয়ে যাবে না ।এখন সবাই কঠোর পরিশ্রম করেন ,সবাই স্মার্ট ওয়ার্ক করেন। আপনাকে অবশ্যই সেই ইনকাম এর উপায় বানাতে হবে যাতে করে আপনি একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে পারলে তা থেকে আপনি সব সময় টাকা পাবেন ।কিন্তু সেখানে আপনার সময় কম দিতে হবে।অনেকেই দেখবেন যারা ধনী তাদের নিজস্ব বাড়ি আছে সাথে মার্কেট এবং আরও বাসা আছে ভাড়া দেয়া যেখানে থেকে সব সময় সক্রিয়ভাবে টাকা ইনকাম হতে থাকে। তাই তারা ভবিষ্যতে আরও ধনী হবেন। এখন যারা গরীব তাদের চিন্তা আমাদের ত টাকা পয়সা নেই আমরা কি করব। এখন আপনার উচিৎ ছোট বিষয় গুলি ফোকাস করা। অনলাইন এর যুগে অনেক কিছুই করা সম্ভব ।অনেক ইউটিউবার মাসে ভালো টাকা ইনকাম করছে। অনেকেরই শুরুতে কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছিলনা । আবার অনেকে এন্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম করছে। আপনার কোন দিক থেকে ভালো দক্ষতা আছে তাও না থাকলে ফটোগ্রাফি করতে পারেন,সেটিও না পারলে বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ফেসবুক থেকেও । এছাড়াও আরও অনেক পথ আছে যেখানে থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব।অনেকেই অটো গাড়ি কিনে ভাড়ায় দিয়ে থাকেন,পাহাড়ি অঞ্চলে লোকজন মোটরসাইকেল ভাড়া দেয়। এখন আপনার বাসায় অনেক জায়গা থাকলেও আপনি বাগান করতে পারেন । বাজারে ফলমূলশাকসবজি ভালো দাম এখন।মাছ চাষ,মুরগির ফার্ম,আবার ফেসবুক এ পেজ খুলে বিজনেস ও করতে পারবেন।আরও অনেক কিছু বলতে গেলে শেষ হবার নয়।
6 important tips for success, which you need to know. Part-2
নতুন কিছু শিখতে চাই এবং সেখাতে চাই । অনভিজ্ঞও থেকে আপনিও হয়ে উঠুন অভিজ্ঞ।