- আজকে আমরা যেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনি আপনার নিয়মিত পঠিত পুস্তক এও পাবেন না। যেই বিষয়গুলি আপনি আপনার পরিবার পরিজন ,বাবা মা কারও কাছেই থেকে শিখতে পারেন নাই। তবে বর্তমান সময় এ এই ৬ টি নির্দেশনা অবশ্যই আপনার পিতা মাতার উচিৎ আপনাকে শিখানো।
এই পোষ্ট এর ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা পূর্ববর্তী পোষ্ট এ আলোচনা করেছি।
সফল হবার ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা, জীবনের কিছু বাস্তব কথা
6 important tips for success, which you need to know. Part-1
এই পোষ্ট টির প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আজকে আমরা পরবর্তী ৩ টি বিষয় আলোচনা করব।
৪. মানুষকে কন্ট্রোল করতে শিখুন:
এখানে কন্ট্রোল করা বলতে কাউকে হিপনোটাইজ করা বুঝানো হয় নাই।কারণ আপনি কখনো কাউকে কন্ট্রোল করতে পারবেন না । এমনকি আপনার নিজের উপড়েও আপনার পুরোপুরি কন্ট্রোল নাই। এখানে কন্ট্রোল করা বলতে আপনি চাইলে আপনার বন্ধু, পরিবার,অফিস এর পরিচিত ব্যাক্তিদের নিজের মতাদর্শে কোন দিকে ধাবিত করতে পারেন। যুগের সাথে সাথে মানুষের আচার ব্যাবহার এর পরিবর্তন হচ্ছে।সেই সাথে মানুষ এর সম্পর্ক বা কারও কাছে জনপ্রিয় বা প্রিয় হবার বিষয় গুলো পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।আপনি চাইলেই নিষ্পাপ বা গম্ভীর ভাব নিয়ে কারও প্রিয় হতে পারবেন না। আমরা অনেকেই গ্রাম এ বড় হয়ে উঠি আবার কেউ শহরে। আমরা যখন কাজের বা শিক্ষার জন্যে শহরে যাই তখন পরিবেশ পরিস্থিতি সবসময় একরকম থাকে না । আমাদের পরিবেশ বা নতুন মানুষ এর সাথে মানিয়ে নেবার জন্যে অনেক কিছু শিখতে হয়। তাই আপনি যদি নিষ্পাপ বা মাসুম হন তাহলে আপনার পক্ষে শহর এ বসবাস করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। আপনার উচিৎ সহজে অন্যদের ভালো খারাপ বিবেচনা করে তাদের আচার ব্যাবহার শিখে ফেলা । এখানে থেকে আপনি আপনার জীবনের অনকে গরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শিখতে পারবেন।কারণ লিডারশিপ বা কন্ট্রোল করার অভ্যাস না থাকলে আপনি আপনার পরিবারকেও কন্ট্রোল বা আপনার মতাদর্শে নিয়ে চলতে পারবেন না। আপনি খারাপ ও ভালো দিক গুলো কে উপলব্ধি করবেন কিন্তু আপনি যদি খারাপদিক গুলি বেশি হজম করে ফেলেন,তাহলে আবার সমস্যায় ও পড়তে পারেন ।আপনার অবশ্যই ভালো দিক গুলো নিজের জীবনে এবং খারাপ দিক গুলা শুধু উপলব্ধি করে শিখে রাখতে হবে যেনো খারাপ সময় এ কি করতে হবে সেটি আপনার জানা থাকে।
৫. পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে কথা বলার অভ্যাস:
আমাদের অনেকেরই হয়ত প্রবণতা আছে ,যেকোন নতুন জায়গায় গেলে নিজেকে অনেক দামি বা মূল্যবান হিসাবে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে ইচ্ছে করে।আবার নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করে অন্যদেরকে নিজের থেকে মূল্যবান ভেবে নিজের মধ্যে অসহায়বোধ তৈরি হয়। আবার বয়স অনুসারে না চিন্তা করেই অহেতুক একটি প্রসঙ্গ উপস্থাপনা করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবার চেষ্টা করা। আসলে আমরা কোন হিরো বা সেলিব্রেটি না যে লোক জন আমাদেরকে দেখা মাত্রই মূল্য দিতে শুরু করে দিবে। যেকোন জায়গায় যদি আমরা নতুন হই ,আমাদের উচিৎ সর্বপ্রথম সেখানে কোন ধরনের মানুষ আছে তারা কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে সেগুলি ভালো ভাবে অনুধাবন করা। আপনার সেখানে বলার সুযোগ না থাকলে কথা না বলা । আপনি যদি কিছু বলতে চান সেই সম্পর্কে ধারণা থাকলে বা কিছু জানলে সেই বিষয় নিয়ে বলা। আবার স্পরশকাতর বিষয়বস্তু যেমন :ধর্ম,রাজনীতি , সেক্সেসুয়াল বিষয়, এগুলি এড়িয়ে চলা। কথার মাপ অনুযায়ী অপরিচিত বেক্তিগণ আপনাকে মূল্যায়ন করবে। পরিচিত ব্যাক্তিদের কাছে আপনি সব কিছু সাভাবিক ভাবে বলতে পারলেও অপরিচিত স্থানে অবশ্যই আপনাকে উপরিক্ত বিষয়গুলি মাথায় রেখে কথা বলতে হবে।আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে । অপরিচিত ব্যাক্তি ঘনিষ্ঠ না হলে আপনি অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারেন না ।
৬. সফল হতে নিজের দেহ ও মনকে সুস্থ রাখা:
সফল হতে হলে অবশ্যই আপনার দুশ্চিন্তা ও বাজে অভ্যাসকে পরিত্যাগ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনি রোগে ভরপুর বা আপনার চিন্তাচেতনা সুস্থ না হলে কখনোই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়।ধর্মীয় আচার ব্যাবহার এর মাধ্যমে আমাদের মাঝে আধ্যাত্বিক অনুভূতি হয়,সকল কিছু এর সাথে সৃষ্টিকর্তার যোগ সংযোগ খুঁজে পাই । তাই ভালো খাবার , নিয়মিত শরীর চর্চা এবং ধর্মীয় শিক্ষা জীবনে মূল্যবান ভূমিকা রাখে।জীবনে বাঁধা-বিপত্তি,সফলতা – অসফলতা সবকিছুই থাকবে কিন্তু সবরকম পরিস্হিতি মোকাবেলার জন্যে অবশ্যই আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার জন্যে সুস্থ শরীর প্রয়োজন। ভালো খাবার , নিয়মিত খদ্যো অভ্যাস মেনে চলা এবং পাশপাশি খেলাধুলা শরীর ও মন কে স্বতস্ফূর্ত রাখে। তাই সফল হতে হলে আগে নিজেকে ফিট রাখুন কারণ অধিক অর্থ সম্পদ দিয়েও মানুষিক শান্তি ও সুস্থতা কেনা যায় না।
নতুন কিছু শিখতে চাই এবং সেখাতে চাই । অনভিজ্ঞও থেকে আপনিও হয়ে উঠুন অভিজ্ঞ।